যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আমদানিকৃত গাড়ি ও যানবাহন যন্ত্রাংশের ওপর ২৫% শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন। এর বিরুদ্ধে জার্মানি বলেছে, তারা “মাথা নত করবে না”, এবং ইউরোপকে “দৃঢ়ভাবে জবাব দিতে হবে”।
বিশ্বজুড়ে প্রতিক্রিয়া:
- ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ এই সিদ্ধান্তকে “সময় নষ্ট” ও “অসঙ্গতিপূর্ণ” বলে আখ্যায়িত করেছেন।
- কানাডা এটিকে “সরাসরি আক্রমণ” হিসেবে দেখছে এবং পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
- চীন অভিযোগ করেছে যে ওয়াশিংটন আন্তর্জাতিক বাণিজ্য নিয়ম লঙ্ঘন করছে।
- জাপান এই সিদ্ধান্তকে “অত্যন্ত দুঃখজনক” বলে উল্লেখ করেছে এবং শুল্ক থেকে অব্যাহতি চেয়েছে।
শুল্কের প্রভাব:
- গাড়ি শিল্পের শেয়ার দর জার্মানি থেকে জাপান পর্যন্ত পড়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে জেনারেল মোটরসের শেয়ার ৭% এবং ফোর্ডের শেয়ার ২% এর বেশি নিচে নেমেছে।
- মেক্সিকো যুক্তরাষ্ট্রে গাড়ি রপ্তানিতে শীর্ষে, এরপর আছে দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান, কানাডা ও জার্মানি।
- বিশেষজ্ঞদের মতে, কানাডা ও মেক্সিকো থেকে আমদানিকৃত যন্ত্রাংশের ওপর শুল্কের কারণে গাড়ির দাম $৪,০০০–$১০,০০০ পর্যন্ত বাড়তে পারে।
ইউরোপের জোরালো প্রতিক্রিয়া:
- জার্মানির অর্থনীতি মন্ত্রী রবার্ট হাবেক বলেছেন, “ইউরোপকে দৃঢ় হতে হবে এবং আত্মবিশ্বাস দেখাতে হবে।”
- ফ্রান্সের অর্থমন্ত্রী এরিক লোমবার্ড বলেছেন, “আমাদের একমাত্র সমাধান হলো মার্কিন পণ্যের ওপর পাল্টা শুল্ক আরোপ করা।”
- ইউনিপার্টসের প্রতিষ্ঠাতা জন নিল বলেছেন, ট্রাম্পের শুল্ক “চীনকে উপহার দেওয়ার মতো”, কারণ বাণিজ্য যুদ্ধের ফলে ক্রেতারা চীনা পণ্যের দিকে ঝুঁকবে।
এশিয়ার প্রতিক্রিয়া:
- দক্ষিণ কোরিয়ায়, হুন্ডাই সম্প্রতি $২১ বিলিয়ন বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে এবং লুইজিয়ানায় একটি নতুন স্টিল প্ল্যান্ট নির্মাণ করবে।
- চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, “শুল্কযুদ্ধে কেউই জয়ী হয় না। কোনো দেশই শুল্ক দিয়ে উন্নতি করতে পারেনি।”
ট্রাম্প দাবি করেছেন, এই শুল্ক মার্কিন উৎপাদন শিল্পকে সাহায্য করবে। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি বিশ্ব বাণিজ্যে অস্থিরতা তৈরি করবে এবং ভোক্তাদের জন্য গাড়ির দাম বাড়িয়ে দেবে।